গত জানুয়ারি মাসে গাজীপুর, ঢাকা, শেরপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তারা ১৭টি অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, না পেলে অপহৃতকে হত্যা করা হয়। এমন তথ্যই দিয়েছেন অপহরণকারী চক্রের গ্রেফতারকৃত ৬ সদস্য।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাদের গ্রেফতার করেছে। এই চক্রটি গত একমাসে এমন ১৭টি অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনা পলাশটেক এলাকার আব্দুল নবীর ছেলে মিল্টন মাসুম (৩৫) ও তার স্ত্রী মোছা. খালেদা আক্তার (৩৬), সাতক্ষীরা দেবহাটা খেজুরবাড়ীয়া এলাকার ওজিহারের ছেলে মো. শাহিন আল (৩৬), গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার জানের চালা এলাকার আব্দুল সবুরের ছেলে মামুন হোসেন (২৮), শেরপুর জেলা ও থানার দোপাঘাটের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া (৩৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার রাজাপুর এলাকার মৃত কুদ্দুস চৌকিদারের ছেলে হাসান চৌধুরী (৪৫)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নূরে আলম।
তিনি জানান, গত জানুয়ারি মাসে গাজীপুর, ঢাকা, শেরপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তারা ১৭টি অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। কৌশলে শিশু-কিশোরদের বাবার বন্ধু পরিচয়ে, বা বাবা-মায়ের সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলে শিশুদের তুলে নিয়ে যায়।
সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা থানার জাঝর বিশ্বরোড থেকে অপহরণ করা হয় টঙ্গীর শফি উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীর হোসেন সিয়ামকে (১৫)। এ ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সিয়ামের বাবা আব্দুল জলিল।
পরে ২৫ জানুয়ারি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (দক্ষিণ)-এর একটি দল অভিযান চালিয়ে নগরীর ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের দক্ষিণ পাশের সড়ক থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরে বুধবার রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের নামে গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় অপহরণ, খুন, মাদক, ছিনতাই ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।