আদালতে সাক্ষী দিল মা, পুলিশ কর্মকর্তার ৩ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১১:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১

পুলিশ কর্মকর্তা এক ছেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন মা। মায়ের সাক্ষীতে পুলিশের এসআই আজম মাহমুদকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধরের দায়ে বৃহস্পতিবার যশোরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নীলুফার শিরিন এক রায়ে এ সাজা দিয়েছেন।

এসআই আজম যশোরের মণিরামপুরের কাশিমপুর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে। আজম মাহমুদ কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত এসআই আজম মাহমুদ কারাগারে আটক আছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশেষ পিপি-২ মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, আসামি আজম মাহমুদ পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর গ্রামের একরাম আলীর মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে বিয়ে করেন। এএসআই পদে পদোন্নতির সময় আসামিকে দেড় লাখ টাকা ও এসআই পদে পদোন্নতির সময় ৫ লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছিল স্ত্রী রাবেয়ার পরিবার।

চাকরির সুবাদে যেখানে পোস্টিং হয় সেখানেই মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক ও বিয়ে করেন। সবশেষ আজম মাহমুদ বাগেরহাটে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বাগেরহাটের এসপি তদন্ত করে সত্যতা পান।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি ২০১৯ সালের ২৭ জুন আসমি আজম মাহমুদ বাড়িতে এসে স্ত্রীকে বেদম মারপিট করেন। স্ত্রী রাবেয়া আক্তার যৌতুকের দাবিতে মারপিটের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন।

এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি আজম মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।