প্রশ্নফাঁস ও ভর্তি জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাত শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় এ সুপারিশ করা হয়। ডিবির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ফজলুল হক মুসলিম হলের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাকসুদুর রহমান, কবি জসিম উদ্দিন হলের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিজন আহমেদ, কুয়েত মৈত্রী হলের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার তামান্না, কবি জসিম উদ্দিন হলের ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহ মেহেদী হাসান, স্যার এ এফ রহমান হলের ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল ইসলাম, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের দর্শন বিভাগের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম এবং অমর একুশে হলের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহেদ আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় তাদের বহিষ্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, ২০১২-১৩ থেকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হওয়া এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সিআইডি চার্জশিটের ওপর ভিত্তি করে ৭ জনকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে শৃঙ্খলা পরিষদ।
এছাড়া আরও দুইজনকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রশ্নফাঁস ও ভর্তি জালিয়াতিতে জড়িত থাকায় তিন দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, শৃঙ্খলা পরিষদ তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সিন্ডিকেট সভায় তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।