রেড জোনে কি করা যাবে কি করা যাবেনা

প্রকাশিত: ১২:০৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২০

কোনো এলাকায় যদি প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৩০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় তাহলে ওই এলাকা রেড জোনে অবস্থান করবে।

রোববার (১৪ জুন) জোনভিত্তিক লকডাউনে কিভাবে কাজ চলবে সেজন্য একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গাইডলাইনে রেড জোন ঘোষণা করার পর সে এলাকায় কাজ কিভাবে চলবে তা নিচে তুলে ধরা হলো-

রেড জোন- উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা

১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্ধিত শিফটে কৃষিকাজ করা যাবে।

২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামাঞ্চলে কলকারখানা ও কৃষিপণ্য উৎপাদন কারখানায় কাজ করা যাবে, তবে শহরাঞ্চলে সব বন্ধ থাকবে।

৩। বাসা থেকেই অফিসের কাজ করবে।

৪। কোনও ধরনের জনসমাবেশ করা যাবে না। কেবল অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে যেতে পারবে।

৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবে, রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সিতে বা নিজস্ব গাড়ি চলাচল করবে না।

৬। সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথে জোনের ভেতরে কোনও যান চলাচল করবে না।

৭। জোনের ভেতর ও বাইরে মালবাহী জাহাজ কেবল রাতে চলাচল করতে পারবে।

৮। এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবল হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে এবং বাজারে শুধু প্রয়োজনে যাওয়া যাবে। তবে শপিং মল সিনেমা হল, জিম/স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

৯। আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম, যেমন- টাকা জমা দান, উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবল এটিএম-এর মাধ্যমে করা যাবে।

 

এছাড়া সব জোনের জন্য পালনীয় সাধারণ নিয়মাবলিতে বলা হয়েছে-

১। এলাকার সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে, হাত ধোয়া, জীবাণুমুক্তকরণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

২। করোনা রোগ/সংক্রমণ শনাক্তকরণ, তাদের আইসোলেশন ও চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৩। কন্টাক্ট ট্রেসিং ও তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।

৪। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল, জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, অসুস্থ ব্যক্তি পরিবহনকারী যান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চলাচল করবে।

৫। সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

৬। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া জনগণ এক জোন থেকে অন্য জোনে যাতায়াত করতে পারবে না। প্রত্যেক এলাকায় সীমিত পরিমাণে প্রবেশ ও বহিরাগমন পয়েন্ট নির্ধারণ করে কঠোরভাবে জনগণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

৭। এসব কার্যক্রম তদারকির জন্য কার্যকরী সামাজিক সম্পৃক্ততা এবং মাঠকর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

১০। উক্ত এলাকার রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ নমুনা পরীক্ষার করতে হবে, শনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে বা আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে।

১১। মসজিদ উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে।