ক্রেতা ও বিক্রেতারা মাস্ক না পরলে মার্কেট বন্ধ করে দেয়া হবে। পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসন এই ব্যবস্থা নেবে। সোমবার (৩ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৮ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে সাতদিন করে দু-দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর আরেক ধাপে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে ৫ মে (বুধবার) পর্যন্ত করা হয়।
সবশেষ আবারও লকডাউনের (বিধিনিষেধ) সময় বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘গতকাল মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটা মিটিং হয়েছে। সেখানে কিছু সুপারিশ করা হয়। আজকে সেই বিষয়ে ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আজ থেকে পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, ম্যাজিস্ট্রেট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তারা দেশের প্রত্যেকটি মার্কেট সুপারভাইজ করবে। কোনো মার্কেটে এত লোক হয়তো কন্ট্রোল করা যাবে না, কিন্তু মাস্ক ছাড়া যদি বেশি লোকজন ঘোরাফেরা করে প্রয়োজনে আমরা সেসব মার্কেট বন্ধ করে দেব। ক্লিয়ারলি এটা বলে দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দোকান মালিক সমিতির সভাপতিরা আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। ওনারা নিজেরাও এটা সুপারভাইজ করবেন।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বাইরে প্রচার করতে হচ্ছে যে, কোনো অবস্থায় যদি স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপক ভায়োলেশন হয় তাহলে প্রয়োজনে আমরা ওই মার্কেট বন্ধ করে দেব।’