ময়মনসিংহে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৬০ টাকা

প্রকাশিত: ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ, মে ৪, ২০২১

ইসলামি অনুশাসনের এক অনন্য নির্দশন ফিতরা। সাদকাতুল ফিতর দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে বিধিবদ্ধ হয়। এটি অসহায় গরিব দুঃখীর ন্যয্য পাওনা। রমজান, ফিতরা ও ঈদ এক সূত্রে গাঁথা। ময়মনসিংহে এবছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ধরা হয়েছে ৬০ টাকা।

ময়মনসিংহ বড় মসজিদের পেশ ও খতিব মাওলানা আব্দুল হকের সভাপতিত্বে গত মাসেই ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী কেন্দ্রীয় ফতোয়া বোর্ডের এক সভা জামিয়া ফয়জুর রহমান রহঃ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সভায় দীর্ঘ আলোচনা পর্যালোচনার পর এ বছরের ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ ও যাকাতের নেসাব ঘোষণা করা হয়।

জানা যায়, ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম আটার মূল্য ৩৫ টাকা দর হিসেবে ৬০ টাকা। এছাড়া খেজুর ও কিসমিসের মূল্যে ফিতরা আদায় করতে চাইলে ৩ কেজি ৩০০গ্রাম খেজুরের মূল্য ২০০ টাকা কেজি হিসেবে ৬৬০ টাকা এবং ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিসের মূল্য ৩০০ টাকা কেজি হিসেবে ১০০০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে।

যাদের আর্থিক সচ্ছলতা আছে তারা খেজুর বা কিসমিসের মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারেন।

এছাড়াও বৈঠকে যাকাতের নেসাব রুপার ভরি ১৪০০ টাকা হিসেবে সাড়ে বায়ান্ন ভরির মূল্য ৭৩,৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

গত মাসে হওয়া এই বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ফতোয়া বোর্ড সহ-সভাপতি মুফতি আহমদ আলী এবং সদস্যবৃন্দের উপস্থিত ছিলেন, মুফতি রইসুল ইসলাম,মুফতি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, মুফতি আব্দুল খালেক, মাওলানা আমিনুল হক, মুফতি নাজমুল হক,মুফতি কাসেদুর রহমান,মুফতি আমীর ইবনে আহমদ,মুফতি ইলিয়াস হাসান, মুফতি মুয়াজ আহমদ,মুফতি সাদেকুর রহমান ও মুফতি গোলাম মাওলা ভূঁইয়া প্রমুখ।

 

জাকাতুল ফিতর হচ্ছে কাফফারার মতো। যা ধনী-গরিব সকলেই আদায় করতে বাধ্য। হাদিসের পরিভাষা হচ্ছে- ‘প্রত্যেক স্বাধীন ও ক্রীতদাস বান্দার জন্য।’ (বুখারি ও মুসলিম)