গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে ৬০ শতাংশ। এই নিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনটি কার্যতালিকা তেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করে আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
গত ১ জুন জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব। রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে ব্যারিস্টার পল্লব বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে অংশ নিয়ে বলেছেন, যৌক্তিভাবেই গণপরিবহণের ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু আমি এর বিরোধীতা করে বলেছি, এটা পুরোটাই অযৌক্তিভাবে বাড়ানো হয়েছে। আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। পরবর্তীতে আমি অন্য বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির চেষ্টা করবো।
রিট আবেদনে ভাড়া বৃদ্ধির ওই প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়। এছাড়া প্রজ্ঞাপনটা কেন অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারির আবেদন জানানো হয়। আবেদনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যাকে বিবাদী করা হয়।
রিট করার পর আইনজীবী পল্লব জানিয়েছিলেন, ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। এটা সাধারণ মানুষের ওপর একটি নিপীড়নমূলক সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলকও। এ কারণে জনস্বার্থে রিটটি করা হয়েছে।
আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব আরও জানান, যাদের প্রাইভেটকার নেই সেই সব নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ গণপরিবহনে যাতায়াত করে। অন্যদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের অধিকাংশ কর্মহীন হয়ে বেকার এবং মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ অবস্থায় ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি অসহায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে আরও বেশি বিপর্যস্ত ও হতাশাগ্রস্ত করেছে। এ কারণে প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত চেয়ে সোমবার সরকারকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।
এর আগে রবিবার ৩১ শে মে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সূত্রঃ ইউএনবি