করোনা সংকটের মধ্যেই বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মচিমহা) শাখা কমিটিকে নিয়ে বিশৃঙ্খলা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
৭ জুন রোববার সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিএনএ’র কার্যালয়ের সামনে নার্স আনোয়ার, কাউসার ও সোহেলসহ গংরা বিএনএ ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি লুৎফর রহমানের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় আহত লুৎফর রহমান হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। এতে হাসপাতালের নার্সরা দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়েছে। বিএনএ সভাপতিতে আহত করায় এক গ্রুপ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালের নার্সদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চিকিৎসাধীন বিএনএ ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিএনএ ময়মনসিংহ শাখা কমিটি নিয়ে কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। আমার ওপর হামলা হয়েছে, আমি আহত হয়ে মচিমহায় ভর্তি আছি। অগণতান্ত্রিকভাবে বিএনএ মচিমহা শাখা আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। আমি এ অবৈধ কমিটির স্বাক্ষর দেই নাই এতে আনোয়ারুল হক, কাওসার আহম্মেদ খান সম্রাট, সোহেল রানাসহ আরও বেশ কয়েকজন অর্তকিতে আমার ওপর হামলা করে আহত করেছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
লুৎফর রহমান আরও বলেন, ‘মচিমহাস্থ বিএনএ কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার পথে মোটরসাইকেল রাখার স্থানে প্রশাসনিক ভবনের সংলগ্ন স্থানে হামলা করা হয়।’
হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি মামলা করার কথা বলেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মারধোর হয় নাই। আমাদের মাঝে একজনের খুব রাগ বেশি, তার সাথে হাতাহাতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনার ভিত্তিতেই বিএনএ মচিমহা শাখার কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। লুৎফর রহমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার সময় রাজি ছিল পরবর্তীতে সে তার মত পাল্টে ফেলে।’
সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার লুৎফরের অনুসারীরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মচিমহার প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করার জন্য সমবেত হয়। সেখানেই তারা বিক্ষোভ করে। এর বাইরে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ নিষিদ্ধ রয়েছ প্রশাসন ।
মচিমহার সহকারী পরিচালক ডা, জাকিউল বলেন, ‘কোনো বিক্ষোভ হয়নি। বিএনএ এর কমিটি নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীন বিরোধের কথা শুনেছি। এ নিয়ে আবেদন করতে বলেছি।’