ভারতের লাদাখে গালওয়ান উপত্যকা চীনের সেনাদের সঙ্গে দেশটির সেনা সদস্যদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই দেশই সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে বলে খবর রয়েছে।
দুপক্ষই সেখানে অনড় অবস্থায় আছে। লাদাখে ভারত-চীন দুই দেশই সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
চীনের সেনারা যে এলাকা পর্যন্ত অনুপ্রবেশ করেছিলেন, সেখানেই রয়ে গেছেন। সীমান্ত বরাবর সৈন্য সমাবেশ বাড়িয়েছে দুপক্ষ। উপগ্রহ চিত্রে তা ধরা পড়েছে।
ভারত শ্রীনগর থেকে বাড়তি সেনা পাঠিয়েছে লাদাখে। নজরদারিতে ব্যবহার করছে বিমান। সেনা সমাবেশ বাড়াতে শুরু করেছে চীনও।
সারি সারি সামরিক ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকার ছবি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে। প্রস্তুত করা হয়েছে বাঙ্কার। বসানো হয়েছে কামানও।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে চীনের দিকে একাধিক সেনা কপ্টার উড়তে দেখা গেছে। হতাহতদের নিয়ে যাওয়ার জন্যই ওই কপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হিমাচলপ্রদেশের লাহুল-স্পিতি ও কিন্নর জেলায় রেডঅ্যালার্ট জারি করেছে ভারত।
বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন দাবি করেন, গালওয়ান উপত্যকা চীনের, ভারতীয় সেনারা সেখানে অনুপ্রবেশ করে ঝামেলা পাকিয়েছেন।
উত্তেজনা প্রশমনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কথা বলেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে। কিন্তু তার পরও সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে দুই দেশই।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতের সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহত এবং আহত হয়েছেন প্রায় দেড়শ সীমান্তরক্ষী। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কয়েকজন সেনা এখনও নিখোঁজ বলে শোনা গেলেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তা স্বীকার করা হয়নি। নিহত ২০ সেনার অধিকাংশের মাথায় চোট ছিল। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শরীর ছিল ক্ষতবিক্ষত। তীব্র ঠাণ্ডায় আহতাবস্থায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার ফলে অনেকেই হাইপোথার্মিয়ায় মারা যান।
সংঘর্ষে ৪৩ চীনা সেনা হতাহত হয়েছে বলে ভারত দাবি করলেও এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি চীন।