ময়মনসিংহ নগরীর ১৬টি এলাকা করোনায় ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহৃিত করে সর্তকবার্তা জারী করা হয়েছে। অন্যদিকে সাত দিনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আটজন ও উপসর্গ নিয়ে ২০ জন মারা যান।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি একটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মমেক হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের কনসালটেন্ট এবং করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা. মহিউদ্দিন খান।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ ছিল। তবে, রোগীদের সুচিকিৎসার কথা চিন্তা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনটি বেড যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়।’
নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বিষয়ে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার জানান, নগরীর এসব এলাকায় অধিক করোনা আক্রান্ত রোগী থাকায় সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এইসব এলাকায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৩ দিনে ৩১১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
এসব ঝুকিপুর্ণ এলাকা গুলো হচ্ছে নতুন বাজার,বাউন্ডারী রোড, চরপাড়া-নয়াপাড়া, মাসকান্দা, শিকারীকান্দা, দিগারকান্দা, ভাটিকাশর, কৃষ্টপুর, আলীয়ামাদ্রাসা, বলাশপুর, কেওয়াটখালী, কালিবাড়ী রোড, কাচিঝুলি, আকুয়া-চুকাইতলা-মাদ্রাসা কোয়াটার, নওমহল, সারদা ঘোষ রোড, আর কে মিশন রোড।
এসব এলাকায় যাতায়ত ও ভ্রমণে সর্তক থাকা এবং ঘরে থেকে সুস্থ্য থাকার জন্য ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু আহ্বান জানিয়েছেন ।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ২৫১টি নমুনা পরীক্ষা করে আটজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদরে পাঁচজন, নান্দাইল, ভালুকা ও গফরগাঁওয়ে একজন করে শনাক্ত হয়েছেন। হোম আইসোলেশনে আছেন ৪৬৪ জন। এ ছাড়া জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত ৫ হাজার ৪২৬ জন, সুস্থ ৪ হাজার ৮২৭ জন এবং করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৭ জন।